Best Computer Course After 12: ৯০% ছাত্র জানেই না—এই ৬টি স্কিল সম্পর্কে! ২০২৫-এর টপ ৬ কোর্স জেনে নাও এখনই
![]() |
Best Computer Course After 12 |
বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের জানাবো এমন কিছু শীর্ষ কম্পিউটার কোর্সের কথা যা ২০২৫ সালের ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা চাকরিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের ৫৫টি দেশের ২২টি ইন্ডাস্ট্রি এবং প্রায় ১.৪ কোটি কর্মীর ডেটা বিশ্লেষণ করে, যেখানে ১০০০টি শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী কয়েক বছরে প্রায় ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হবে, অন্যদিকে ৯.২ কোটি চাকরি হারিয়ে যাবে। অর্থাৎ মোট ৭.৮ কোটি নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর মূল কারণ একটাই — AI (Artificial Intelligence)।
এখন তো এআই এত উন্নত হয়েছে যে, সহজ কাজ থেকে শুরু করে জটিল কাজ পর্যন্ত — সবকিছু অটোমেটেড হয়ে যাচ্ছে। গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, এমনকি টেক্সট দিয়ে ৩ডি অ্যানিমেশন ভিডিও বানানো — সবই এখন সম্ভব এআই-এর মাধ্যমে।
এই পরিবর্তনের ফলে ডিগ্রির গুরুত্ব কমে গেছে, রিমোট ও হাইব্রিড জব বাড়ছে, ফ্রিল্যান্সিং এবং গিগ ইকোনমি একেবারে বুম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষত, AI-র সাথে সম্পর্কিত কাজ, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স, এবং সবুজ চাকরি (Green Jobs) গুলোর চাহিদা আকাশছোঁয়া।
সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে কোন স্কিল ডেভেলপ করবো? কোন কোর্স ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে? সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা এই বিশাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বেছে নিয়েছি ২০২5 সালের জন্য সেরা ৬টি কম্পিউটার কোর্স। এরমধ্যে একটি কোর্স এমন আছে যেটি নন-টেক ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেমেয়েদের জন্য উপযুক্ত — তাই যারা আইটি বা কোডিংয়ে দুর্বল, তারাও এই কোর্সটি করতে পারেন।
১. ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিক্স (Data Science & Analytics)
যদি সংখ্যার সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে, ডেটা বিশ্লেষণ ভালোবাসো, তাহলে ডেটা সায়েন্স তোমার জন্য একদম পারফেক্ট।
ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালের মধ্যেই ৮০ লক্ষেরও বেশি নতুন চাকরি তৈরি হবে এই ফিল্ডে — যেমন হেলথকেয়ার, আইটি, ব্যাংকিং, ই-কমার্স — সব জায়গায় ডেটা বিশেষজ্ঞের চাহিদা রয়েছে।
এআই এই সেক্টরে টুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু ডেটা মডেল তৈরি ও বিশ্লেষণের জন্য মানুষের প্রয়োজন থাকবে — তাই এই চাকরিগুলো এআই প্রুফ বলা যায়।
কোথা থেকে শুরু করবে?
-
১২ পাশ করেই তুমি B.Sc. in Computer Science বা B.Tech CSE নিতে পারো।
-
সাথে পার্ট টাইমে ডেটা অ্যানালিটিক্সের বুটক্যাম্প কোর্স করতে পারো।
-
যেমন: সিলসিয়ার ৯০ দিনের সম্পূর্ণ হিন্দি ভাষার ডেটা অ্যানালিটিক্স কোর্স — এতে ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট, AI টুল, ওয়ার্কশপ, সার্টিফিকেট, এমনকি IBM ব্যাজও দিচ্ছে।
এই কোর্স করতে করতে ইন্টার্নশিপও পাওয়া যায় — এবং খরচ মাত্র ₹৪০০০-এর নিচে!
অসাধারণ! তাহলে চল, এবার পুরো ভিডিও স্ক্রিপ্টটা ধাপে ধাপে বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি—একেবারে প্রাঞ্জল, তথ্যবহুল ও পাঠযোগ্যভাবে:
২. সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security)
বিশ্বের যেকোনো ডিজিটাল সংস্থা এখন সাইবার অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চাইছে। তাই সাইবার সিকিউরিটির চাহিদা অদূর ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি।
ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট বলছে, শুধু ২০২৫ সালের মধ্যেই ৩০ লক্ষেরও বেশি নতুন সাইবার সিকিউরিটি রোল তৈরি হবে। গ্লোবাল কোম্পানিগুলো যেমন AI ইউজ করে নিজেদের কাজ আরও স্মার্ট করছে, তেমনই নিজেদের ডেটা ও সিস্টেম সুরক্ষিত রাখার জন্য সাইবার এক্সপার্টদের নিয়োগ বাড়াচ্ছে।
তুমি যদি Ethical Hacking, Network Security বা Penetration Testing-এর মতো টপিক নিয়ে উৎসাহী হও, তাহলে সাইবার সিকিউরিটি নিঃসন্দেহে তোমার জন্য সেরা অপশন।
কোর্স শুরু করার পথ:
-
B.Sc. in Cyber Security অথবা BCA/B.Tech করেও এই দিকে যেতে পারো।
-
পাশাপাশি CompTIA Security+, CEH (Certified Ethical Hacker), বা CISSP-এর মতো ইন্ডাস্ট্রি সার্টিফিকেশন নিতে পারো।
-
Indian Cyber Security Solutions বা Coursera-র মতো প্ল্যাটফর্মেও অনেক ভালো কোর্স আছে।
৩. ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)
আজকাল সব কোম্পানি তাদের ডেটা ও সফটওয়্যারকে অনলাইনে ক্লাউডে হোস্ট করছে। Google Drive, AWS, Microsoft Azure, ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে সবকিছু চলতে শুরু করেছে।
এই কারণেই Cloud Engineers, DevOps Engineers, ও Site Reliability Engineers-এর চাহিদা এখন তুঙ্গে।
ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেক্টরে প্রতি বছর ২০% হারে জব বাড়ছে। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস, গুগল ক্লাউড, মাইক্রোসফট অ্যাজুর — সব বড় কোম্পানিই এখানে প্রচুর নিয়োগ দিচ্ছে।
কোর্স শুরু করার উপায়:
-
B.Tech CSE বা IT পড়লে অনেক সহজ হবে।
-
এরপর AWS Certified Solutions Architect, Microsoft Azure Fundamentals-এর মতো সার্টিফিকেশন করো।
-
YouTube ও Udemy-তে অনেক ফ্রি ও পেইড কোর্স রয়েছে।
৪. UI/UX ডিজাইন (UI/UX Design)
(এই কোর্সটি নন-টেক ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী)
তুমি যদি কোডিং ভালো না বুঝো, তবু ডিজাইনিং করতে ভালোবাসো, তাহলে UI/UX Design তোমার জন্য একদম পারফেক্ট।
এই সেক্টরে তুমি কাজ করো অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারের ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন করার উপর।
ফিউচার অফ জবস রিপোর্ট বলছে, Automation যত বাড়বে, ততই মানুষের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করার জন্য হিউম্যান ডিজাইনারদের দরকার হবে — যেটা AI করতে পারবে না।
শুরু করার উপায়:
-
Adobe XD, Figma, Canva-এর মতো টুল শিখো।
-
YouTube-এ ফ্রি টিউটোরিয়াল অথবা Coursera, Google UX Design সার্টিফিকেট করতে পারো।
-
Behance ও Dribbble-তে নিজের প্রজেক্ট শেয়ার করলে ফ্রিল্যান্স কাজও পাবে।
৫. AI & Machine Learning (এআই ও মেশিন লার্নিং)
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা ফিল্ড হলো Artificial Intelligence। এআই এখন Healthcare, Finance, Education, Logistics – সব জায়গাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, কোপাইলট – সবই এআই’র উদাহরণ।
AI-এর উন্নতির ফলে Machine Learning Engineer, Prompt Engineer, AI Researcher, AI Trainer— এই চাকরিগুলোর চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
শুরু করার উপায়:
-
Python প্রোগ্রামিং শেখো।
-
এরপর NumPy, Pandas, Scikit-learn, TensorFlow-এর মতো লাইব্রেরি শিখো।
-
Google, IBM, বা Simplilearn-এর AI কোর্স করতে পারো।
-
Kaggle-এ প্রজেক্ট ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে স্কিল উন্নত হবে।
৬. ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন (Digital Marketing & Content Creation)
(এটি Non-Tech স্টুডেন্টদের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন)
যারা টেকনোলজি-ভীতু বা কোডিংয়ে দুর্বল, তারা সহজেই Digital Marketing দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।
আজকের দিনে সব কোম্পানি অনলাইনে মার্কেটিং করছে — সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল অ্যাডস, ইউটিউব, ইমেল, ই-কমার্স — এসব প্ল্যাটফর্মে ব্র্যান্ড প্রচারের জন্য দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার লাগছে।
AI টুল যেমন ChatGPT, Canva, Copy.ai – এগুলোর সাহায্যে আজ একজন মানুষ একাই পুরো মার্কেটিং কনটেন্ট তৈরি করতে পারছে।
শুরু করার উপায়:
-
Google Digital Garage বা HubSpot থেকে ফ্রি সার্টিফিকেট কোর্স করো।
-
SEO, Social Media Marketing, Email Marketing, Content Writing — এই টপিকগুলো শেখো।
-
নিজের একটা ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল খুলে প্র্যাকটিস করো।
২০২৫ সালের জন্য এই ৬টি স্কিল বা কোর্স AI-proof এবং ইন্ডাস্ট্রি-ডিমান্ডেড। যারা এখনো ছাত্রছাত্রী, তারা আজ থেকেই এই স্কিলগুলো শেখা শুরু করো — কারণ ভবিষ্যতের চাকরির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শুধু ডিগ্রি নয়, স্কিলই শেষ কথা। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করে তথ্যটি তাদেরও জেনে নেওয়ার সুযোগ করে দাও।